Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
মুক্তাগাছার রাজবাড়ি
স্থান

মুক্তাগাছা

কিভাবে যাওয়া যায়

ময়মনসিংহ থেকে ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জামালপুর মহাসড়কের সংযোগ স্থল থেকে ১ কিলোমিটার উত্তর পূর্বদিকে মুক্তাগাছার রাজবাড়ীর অবস্থান। ঢাকা থেকে সরাসরি বাস যোগে মুক্তাগাছা যাওয়া যায়।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

 

মুক্তাগাছা রাজবাড়ি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

 

জমিদারের সূচনা

 

      বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যেগুলো আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসকে করেছে সমৃদ্ধ। এমনই এক মূল্যবান স্থাপনা মুক্তাগাছা রাজবাড়ি। যার পাতে পরতে ইতিহাস খেলা করে ঐতিহ্যের চমক নিয়ে। ময়মনসিংহ জেলার প্রাচীন জনপদ হচ্ছে মুক্তাগাছা যা মোগল আমলে আলাপসিং পরগনা নামে পরিচিত ছিল। আলাপসিং পরগনা খাজনার দায়ে নিলামে উঠলে তা পত্তন নেন শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী। শ্রীকৃষ্ণের আদি নিবাস বগুড়া জেলার ঝাকরে। তার ছিলো চার পুত্র। রামরাম আচার্য চৌধুরী,হররাম আচার্য চৌধুরী, বিষ্ণুরাম আচার্য চৌধুরী ও শিবরাম আচার্য চৌধুরী। পিতার মৃত্যুর পর তারা বসতি স্থাপন করেন বর্তমান মুক্তাগাছায়।

 

মুক্তাগাছার নামকরণ

 

মুক্তাগাছার পূর্ব নাম বিনোদবাড়ী। বগুড়া জেলার ঝাকর থেকে চার ভাই ফুলবাড়িয়া শিবগঞ্জ ও মুক্তাগাছার বানারপাড় হয়ে আয়মন নদী দিয়ে বর্তমান চৌরঙ্গীর মোড় বজড়া যুগে রাজঘাটে যাত্রা বিরতী করেন। বিনোদবাড়ীর আশপাশ পুরোটাই ছবির মতই সুন্দর আর ছিমছাম গোছানো ছিলো। যে কেউ এর রূপে বিমোহিত হতো। তাই তারা স্থির করেন এখানে রাজবাড়ি নির্মাণ করে শাসনকার্য পরিচালনা করার।

জমিদার আমলে ছিল নানা ধরনের জমিদারী রেওয়াজ। নজরানা (উপঢৌকন)। তেমনি এক জমিদারী রেওয়াজ। রাজা বাহাদুরদের আগমনে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ রাজাদের খুশি করতে নজরানা প্রদান করতেন। মুক্তারাম কর্মকার নামে এক ব্যক্তি রাজার আগমনে নজরানা হিসেবে একটি গাছা (পিলসুজ) উপহার হিসেবে নিয়ে যান। রাজা গাছার নিখুঁৎ কারুকার্য দেখে খুশি হয়ে বিনোদবাড়ীর নাম পরিবর্তন করে মুক্তারামের মুক্তা আর তার উপহার দেওয়া গাছা একত্র করে নতুন নাম রাখেন মুক্তাগাছা। সেই থেকে আজ অবধি এ নামটিই প্রচলিত আছে।

মুক্তাগাছা রাজঘাটের পাশেই একখণ্ড ভূমি নির্বাচন করে জমিদারগণ নির্মাণ করেন রাজপ্রাসাদ। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর চার ছেলে রাজবাড়ির আশপাশে নানা প্রকারের উন্নয়নমূলক কাজ করেন। শ্রীকৃষ্ণ প্রথম ছেলে রামরাম প্রতিষ্ঠা করেন কুলবিগ্রহ ও রাজ রাজেশ্বরী মন্দির। হররাম প্রতিষ্ঠা করেন শিব, বিষ্ণু রাম খনন করেন বিষ্ণু সাগর, এবং শিবরাম প্রতিষ্ঠা করেন বাড়ির পাশে বৃহৎ পরিখা।

রামরামের প্রতিষ্ঠা করা রাজরাজেশ্বরীতে আছে অসাধারণ সব কারুকাজ। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নতুন করে সংস্কার করার পর পর্যটকদের আনাগোনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজবাড়িতে।

হররাম আচার্য চৌধুরী মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ীর প্রধান ফটকের সামনে আছে হর রামেশ্বর শিব বিগ্রহ। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাড়ির সামনে শিব বিগ্রহটি নির্মাণ করেন জমিদার শ্রীকৃষ্ণের ২য় ছেলে হররাম আচার্য চৌধুরী। মন্দিরটির উচ্চতা ৩০ ফুট। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মন্দিরে থাকা শিব বিগ্রহ, গোপাল বিগ্রহ ও রাধা কৃষ্ণের মূর্তি চুরি হয়ে যায়। স্থানীয়দের মতে এগুলো ভারতের বিভিন্ন মন্দিরে পাচার হয়ে গেছে।

বিষ্ণুরাম শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর তৃতীয় ছেলে। আলাপসিং পরগনার পানীয় জলের। সংকট মেটাতে তিনি খনন করেন বিরাট এক দীঘি। এত বড় দীঘি স্থানীয় মানুষ। আগে না দেখায় সাগরের সাথে তুলনা দিয়ে দীঘিটিকে সাগর বলে অভিহিত করেন। যেহেতু দীঘিটি বিষ্ণুরাম খনন করেছেন তাই তার নামানুসারে দীঘিটির নাম হয় বিষ্ণু সাগর। ১৭৬২ থেকে ১৭৭০ সালের মধ্যে দীঘিটি খনন করা হয়। মুক্তাগাছা রাজবাড়ীর পূর্ব পাশে মণ্ডার দোকানের পূর্ব পাশে ৫ একর জায়গা নিয়ে বিষ্ণ সাগর বিস্তৃত ছিলো। স্বচ্ছ পানির শীতলতা উপভোগ করতে জমিদারদের প্রধান আকর্ষণের জায়গা ছিলো বিষ্ণু সাগর।

শিবরাম আচার্য চৌধুরী

জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন শিবরাম আচার্য চৌধুরী। জমিদার বাড়ির নিরাপত্তা ও শোভা বর্ধনের জন্য তিনি খনন করেন বৃহৎ পরিখা। পরিখাটি আয়মন নদী থেকে শুরু হয়ে সমন্ত রাজবাড়ি ঘিরে আবার আয়মন নদীতে গিয়ে পরেছে। এ পরিখাগুলো বর্তমানে ছোট ছোট দীঘিতে পরিণত হয়েছে। মূলত সে সময়ে রাজবাড়ির নিরাপত্তার জন্য পরিখা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ  ছিলো।

জমিদার আমলে মুক্তাগাছার পরিধি ছিলো প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার। বিশাল এ শাসন এলাকাকে সুবিধার জন্য শ্রীকৃষ্ণের চার ছেলের বংশধরগণ বিভিন্ন অংশে ভাগ করে নেন। বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে নবারুণ বিদ্যা নিকেতন পর্যন্ত অংশ ছিলো রামরাম আচার্য চৌধুরীর। রামরামের ছিলো তিন ছেলে। রুদ্ররাম, বিজয়রাম, কৃষ্ণচন্দ্ররাম। এরা বাবার মৃত্যুর পর তিনভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর দ্বিতীয় পুত্র হররামের আটআনি পরিমান জমিদারীর মালিকানা ছিলো। আর এ আটানি বাড়িটিই বর্তমান রাজবাড়ী হিসেবে পরিচিত। এটি প্রত্নত্ত্ববিভাগের হেফাজতে রয়েছে। হররামের ছিলো দুই পুত্র। রামকান্ত ও কৃষ্ণকান্ত। আটানী বাড়ীর প্রভাব প্রতিপত্তি ছিলো সবচাইতে বেশি। বাড়িটি তৈরি করা হয় বিশেষ নকশায় ও অসাধারণ কৌশলে। এ বাড়িটির কারুকার্য এতটাই মনোমুগ্ধকর ছিলো যে ভারতের শিলাইদহে অনুরূপ একটি রাজপ্রাসাধ নির্মাণ। করেন সেখানকার জমিদার। বিষ্ণুরামের অংশ বর্তমান আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর দখলে। বিষ্ণুরামের বিশাল এ ভূখণ্ডে হাতি, ঘোড়া ও বিভিন্ন যুদ্ধ সামগ্রী রাখা হতো। জমিদারদের মোট হাতি ছিলো ৯৯ টি। এদের মধ্যে বিশেষ পরিচিত ও উল্লেখযোগ্য হাতির নাম শম্ভু। অনেক চেষ্টা করেও তারা হাতির সংখ্যা বাড়াতে পারেননি। ৯৯ টি হাতির বেশি হলেই হয় মারা যেতো না হয় পাগল হয়ে যেতো। বিষ্ণুরামের ৩ ছেলে। কৃষ্ণ কিশোর, শ্যামা কিশোর ও চন্দ্র কিশোর। শ্রীকৃষ্ণের সকল ছেলে জমিদারী প্রথা বিলোপের পর ভারত চলে গেলেও একমাত্র বিষ্ণুরামের বংশধর মুক্তাগাছায় ছিলেন। বাংলাদেশে বিষ্ণুরামের সবশেষ বংশধর ছিলেন শ্রী দেবাশীষ আচার্য চৌধুরী টুবলো। তার ৩ মেয়ে।

শিবরাম শ্রীকৃষ্ণের চতুর্থ ছেলে। বর্তমান শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ তার অংশেই অবস্থিত। তবে শিবরামের বাড়িতে অবস্থিত কলেজের মূল ফটকের উঁচু বাড়িটি ছাড়া সব ধ্বংস হয়ে গেছে। রাজবাড়িটিতে কলেজ করা হলেও কলেজে এ সম্পর্কিত কোন ইতিহাস ফলক নেই সর্ব সাধারণের জানার জন্য। মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িতে ছিলো নানা মূল্যবান ও দর্শনীয় বস্তু। বাড়িগুলোর কারুকার্য এতবছর পরও নতুনের মতো লাগে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, নগেন্দ্র নারায়ন (এন.এন) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নবারুণ বিদ্যা নিকেতন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ভূমি অফিস রামরাম, হররাম ও শিব রামের অংশে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিষ্ণু রামের অংশে তৈরী করা হয় আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

রাজা মহারাজা উপাধি

লর্ড কর্নওয়ালিসের আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পরবর্তী সময়ে মুক্তাগাছার জমিদারদের সাথে ইংরেজদের বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সমাজসেবায় বিশেষ অবদান ইংরেজদের মুগ্ধ করেছিলো । তাই জমিদারদের তারা রাজা ও মহারাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। রাজা জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী, মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী, মহারাজা শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী এর বাস্তব উদাহরণ। এসকল রাজা মহারাজাদের আমলে মুক্তাগাছা বিশেষ ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখরিত হয়।

রাজা জগৎ কিশোর ছিলেন আরেক বিদ্যানুরাগী। তিনি ময়মনসিংহে মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন বিদ্যাময়ী স্কুল। এছাড়া রাজা মহারাজাগণ অর্থ ও জমি দান করেন ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আনন্দমোহন কলেজ নির্মাণে। ময়মনসিংহ টাউন হল, ময়মনসিংহ রেলওয়েতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল শশীলজ, আলেকজান্দার ক্যাসেল, জামালপুরের শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী কলেজসহ বহু প্রতিষ্ঠান মুক্তাগাছার রাজাদের তৈরি। মুক্তাগাছা রাজবাড়ির মূল্যবান সম্পদের অধিকাংশ চুরি হয়ে গেছে। কিছু মূল্যবান চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র ময়মনসিংহ জাদুঘর ও ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে কালের সাক্ষী হয়ে।

   তৎকালীন পূর্ব বাংলার একমাত্র ঘূর্ণায়মান নাট্যমঞ্চ মুক্তাগাছা রাজবাড়ি আটআনি জমিদার বাড়িতে স্থাপন করেন রাজা জগৎ কিশোর আচার্য চৌধুরী কনিষ্ঠ পুত্র ভূপেন্দ্র কিশোর আচার্য চৌধুরী। বাংলা ১৩৫২ সালে এটি স্থাপন করা হয় বলে জানা যায়। ভারতবর্ষে ঘূর্ণায়মান নাট্যমঞ্চের একমাত্র উদ্ভাবক ছিলেন শ্রী সতু সেন। মঞ্চটি তৈরী করতে তখন খরচ হয়েছিলো ২৫ হাজার টাকা। সতুসেন নির্মাণের জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ৫ হাজার টাকা। মোট ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয় ভূপেন্দ্র রঙ্গপিঠ নির্মাণের জন্য। বহু নাটক মঞ্চস্থ করা হয় এ নাট্যমঞ্চে রাজা ভূপেন্দ্র কিশোর আচার্য চৌধুরী প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও পরিচালনায়। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৩৬০ সালে ৫৬ বছর বয়সে। স্বাধীনতার পর ঘূর্ণায়মান নাট্যমঞ্চ ময়মনসিংহ টাউনহলে নিয়ে যাওয়ার কয়েকবছর পর আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

রাজবাড়িটিতে ঘূর্ণায়মান নাট্য মঞ্চের পিছনে এখনো কয়েকটি লাহোর সিন্দুক আছে। তবে কবে কে বা কারা সিন্দুক লুট করে সব নিয়ে গেছে তা কেউ বলতে পারেনা।বিকেলে মহিলাদের সময় কাটানোর জন্য তৈরি বালাখানা এখনো আছে রাজবাড়ির ছাদে। মহিলাদের হাতের বালার আদলে তৈরি বিশ্রামাগারটির নাম বালাখানা হিসেবেই পরিচিত। ছাদে উঠার জন্য প্রথমে ভূপেন্দ্র রঙ্গপিঠ এর দক্ষিণ পাশের সিড়ি দিয়ে দুতলায় উঠার পর ডানে পূর্ব দিকে ছাদে উঠার সিঁড়ি বসানো ছিলো। কিন্তু সিড়িটি আজ আর নেই। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় এখনো দেখা যায় ইংল্যান্ডের তৈরি লাহোর অসংখ্য ভীম। মুক্তাগাছা রাজবাড়ির রাজাদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুক্তাগাছা পৌরসভা (মতান্তরে ১৮৭৮) ও ১৮৮৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা।

পিছনেই পশ্চিম পাশে রয়েছে ফ্লোরোসিমেন্টর অসাধারণ ঘর। এ ঘরটি বিশেষ কায়দায় তৈরি। অনেকটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আরামপ্রদ ঘরটি ফ্লোরোসিমেন্টের মাধ্যমে নেট, চুন, সুরকির মাধ্যমে বিশেষ ব্যাচ তৈরি। বর্তমানে ঘরটির ছাদ ধসে গেছে। খুব গরমে ঘরটিতে বসলে এখনও শীতল অনুভূতি মনপ্রাণ জুড়িয়ে দেয়। এছাড়া মৃণালিনী দেবী তার স্বামীর স্মৃতি ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠা করেন নগেন্দ্র নারায়ন (এন.এন) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, রাজা জগৎ কিশোর প্রতিষ্ঠা করেন রামকিশোর (আর.কে) উচ্চ বিদ্যালয়, সূর্যকান্ত (এস.কে) হাসপাতাল ও ইসলামিয়া মোহামেডান স্কুল। জিতেন্দ্র কিশোর আচার্য চৌধুরী বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার স্থাপন করেন যা বাংলা একাডেমিতে মুক্তাগাছা সংগ্রহ নামে রক্ষিত আছে।