Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

আমাদের এই মুক্তাগাছা উপজেলায় জন্ম নিয়েছেন অনেক ব্যাক্তিত্ব ।

১।  হেমেন্দ্রকিশোর আচার্য চৌধুরীর জন্ম ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায়। তাঁর পিতা দেবেন্দ্রকিশোর চৌধুরী জন্মসূত্রে মুক্তাগাছা ও ভাওয়াল রাজপরিবারের সাথে যুক্ত ছিলেন।হেমেন্দ্রকিশোর আচার্য চৌধুরীর শিক্ষাজীবন কাটে ময়মনসিংহ এবং কলকাতায়। ছাত্রজীবনে ভাওয়ালের কবি গোবিন্দচন্দ্র দাসের রচিত স্বদেশী গান গেয়ে তিনি নবভারতের স্বপ্ন দেখতেন।

 প্রথম যৌবনে কয়েকজন বন্ধুর সংগে 'কার্বোনারী' গুপ্ত সমিতি গঠন করেন। ১৯০৪ সালে কলকাতায় অরবিন্দ ঘোষের সাহচর্যে তিনি তাঁকেই বিপ্লব-গুরু হিসেবে গ্রহণ করেন। বিস্ফোরকের গবেষণা করতেন। সমিতির ধ্যানধারণাকে রূপায়িত করবার উদ্দেশ্যে 'ডন সোসাইটি', 'অনুশীলন সমিতি', প্রভৃতি বৈপ্লবিক সংগঠনের প্রধানদের সংগে তিনি পরিচিত হতে থাকেন। ময়মনসিংহে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সাধনা সমিতি বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলনের মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলো। তাঁর বিপ্লবী সংগঠন তখন সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়াত্রিপুরায় বিস্তৃতিলাভ করে। ১৯০৮ সালে তিনি বিপ্লবী হরিকুমার চক্রবর্তীর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পান। তাঁর নেতৃত্বে কলকাতায় তখন তাঁর দলের ঘাঁটিটি যুগান্তর দলের সংগে যোগাযোগ রেখে কাজ করছিলো। ১৯১৩ সালে সম্মিলিত সশস্ত্র অভ্যুত্থানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তিনি  আসাম, ত্রিপুরা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে কেন্দ্র স্থাপন করে যুবকদের অস্ত্রশিক্ষা দেন। জমিদার পরিবারের তাঁর বাড়িটি ছিলো তখন বিপ্লবীদের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল। ১৯১৬ সালে অকস্মাৎ গ্রেপ্তার হয়ে খুলনায় অন্তরীণ থাকেন

২। রাজা জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী (ইংরেজি: Jagatkishore Acharya Chowdhury) (২৪ মার্চ, ১৮৬৪ - ২১ ডিসেম্বর, ১৯৩৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন জমিদার এবং শিক্ষার পৃষ্ঠপোষক। পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা বিস্তারের জন্য বহু অর্থ দান করে "দানবীর" হিসেবে খ্যাতিলাভ করেন। ময়মনসিংহে "বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়" প্রতিষ্ঠাকল্পে ৫০,০০০ টাকা ব্যয় করেন। কাশীতে বার্ষিক ১০,০০০ টাকা ব্যয় করে সত্র চালাতেন। সংগীত ও সাহিত্যে অনুরাগী এবং দক্ষ শিকারি ছিলেন।

জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরীর জন্ম বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছায়। তাঁর জন্ম জমিদার পরিবারে। মুক্তাগাছা জমিদারবাড়ির অভ্যন্তরে একটি রঙমহল নির্মাণ করেন জগৎকিশোর এবং তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রের নামে স্থাপনাটির নামকরণ করেন ‘ভূপেন্দ্র রঙ্গপীঠ’। চারকোণাকার এই রঙমহলের ডান পাশে রাজরাজেশ্বরী মন্দির। বাম দিকে দর্শক উপবেশনের স্থান। রঙমহলের পূর্বপ্রান্তে ১৯৪৫ সালে ঘূর্ণায়মান মঞ্চ স্থাপন করেন নাট্যামোদি জমিদার জীবেন্দ্রকিশোর আচার্য চৌধুরী।

৩। কলম আলী উকিলঃজন্ম ১৯০২, মৃত্যু ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৩। জন্মস্থান ঈশ্বরগ্রাম, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ। পিতা মোঃ আলিম উদ্দিন মীর্জা। আইনজীবী সমাজসেবী ও রাজনীতিক। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (১৯৫৪)।