ঘোগা,মুক্তাগাছা
মুক্তাগাছা উপজেলা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিমে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক জুড়ে এ বনাঞ্চলের অবস্থান। মধুপুর গড়ের ও একটি অংশ।
0
বন একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। বাংলাদেশের বনভূমির পরিমান নেই বললেই চলে। এরই মাঝে অল্প কিছু বন টিকে আছে মানুষের সাখে রীতিমত যুদ্ধ করে। কৃত্রিম বনের কারণে আবার প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা হচ্ছে। সবমিলে বাংলাদেশে উল্লেখ করার মতো বড় বন সুন্দরবন। প্লাইস্টোসিনকালে গড়ে উঠা বন হচ্ছে মধুপুর বন। এ বনের নির্মলতায় যে কেউ মুগ্ধ হতে পারে। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার পশ্চিমে ১৭,১০৭ হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত মধুপুর বন। বনটি মধুপুর বন হিসেবে পরিচিত থাকলেও মধুপুরে বন নেই। বন হচ্ছে রসুলপুরে। ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার বেশ কিছু অংশ নিয়ে রসুলপুর শাল বনের অবস্থান। মধুপুর বনে মোট ০৫ টি রেঞ্জ অফিস আছে। মুক্তাগাছা থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিমে রসুলপুর বন। দক্ষিনের অংশ ময়মনসিংহ বন বিভাগের আর উত্তরের অংশ টাঙ্গাইল বন বিভাগের। বর্তমানে মধুপুর বনের আয়তন ২১ হাজার একর।
রসুলপুর রেঞ্জ অফিস থেকে সামনের দিকে গেলে চোখে পড়বে বড় বড় শাল গাছ। ভাগ্য ভালো থাকলে আরো একটু সামনের দিকে গেলে চোখে পড়তে পারে বানর ও হনুমানের ঝাঁক। বেশ কয়েক কিলোমিটার যাবার পরই পাবেন হরিণ প্রজনন কেন্দ্র। দুপুর ১২টার পর হরিণকে খাবার দেওয়া হয়। প্রায় ১০০ হরিণ আছে এখানে। হরিণ পর্যবেক্ষন টাওয়ারও আছে। টাওয়ারে উঠে বনের সবুজ নিসর্গে হারিয়ে যেতে মন চাইবে। রসুলপুর বনে বিরল প্রজাতির গোল্ডেন লাংগুর বানরের বাস। ছোট আকারের বাদামী রঙের বানরগুলো বাংলাদেশের একমাত্র রসুলপুর বনেই আছে।
শাল প্রধান মধুপুর বনে রয়েছে হরেক রকম ঔষধি গাছ ও লতাগুল্ম। বহেরা, সাদা ঝিগা, পিতরাজ, আনাইগোটা, জংলী হলুদ, কাইককা, সিন্দুর, গান্ধী, গজারী, কাঞ্চনপাতা, বাবড়ী , বুতুম, বুনো বেত , আমলকি, হরিতকি, বহেরা নাম না জানা নানান গাছ। শুধু গাছই নয় চমৎকার সব লতা গুল্ম ভরে আছে সমস্ত বন জুড়ে।
মধুপুরে গারো আদিবাসীগন সর্বপ্রথম আনারস চাষ শুরু করে। আনারস মধুপুরের অন্যতম ফসল। বাংলাদেশের গারোদের বিরাট একটা অংশ বাস করে মধুপুরে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস